বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বাংলার সম্ভ্রম দুই হাজার টাকায় বিক্রি করলো

Posted by

বিশ্ব প্রতিদিন: রাজনীতি কতো নিষ্ঠুর কতো বেহায়া সেটা ভারতের বিজেপি কে দেখলে বোঝা যায়। বিজেপির হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়েছে। মুসলমান হত্যা করেছে। ভারতের প্রশাসনের মধ্যে বিভেদ ঢুকিয়েছে। আর সব কাজের সাক্ষী রেখেছে দেবতা রামকে সামনে রেখে। যে দল এতো হিন্দুত্ববাদী দেখায় সেই দল প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য নিজের দলের মহিলা সদস্যদের সম্ভ্রম বিক্রি করতে দ্বিধা করে না।

আলোচিত সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ ‘সাজানো’, বিজেপি নেতার গোপন ভিডিওতে পশ্চিমবঙ্গে তোলপাড়। পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির এক বিজেপি নেতার গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে ওই নেতাকে বলতে দেখা যাচ্ছে যে সেখানে কোনও নারীই ধর্ষণের শিকার হননি এবং সেখানকার নারীরা এতদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছেন, সবটাই বিজেপির নেতারা শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়ে নারীদের দিয়ে বলিয়েছেন।সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দ্বারা ধর্ষণের অভিযোগ পুরোটাই সাজানো ঘটনা এবং এর পেছনে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর যোগ রয়েছে, এমনটাও উঠে এসেছে ওই স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে। বিজেপির যে নেতার ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়েছে, তার নাম গঙ্গাধর কয়াল। তিনি সন্দেশখালিতে বিজেপির দু নম্বর ব্লকের মন্ডল-সভাপতি। ওই সন্দেশখালি দু-নম্বর ব্লকের নারীরাই দলবদ্ধভাবে প্রতিবাদ শুরু করেন নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। ইউটিউবে ঐ চ্যানেলটিতে ৩রা মে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। ভিডিওটির শিরোনামে শুধু আপলোডের তারিখটি দেয়া আছে। ভিডিওটির বর্ণনায়ও শুধু একটি লাইন ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ‘দেখুন কীভাবে কয়েকজন নেতা সন্দেশখালির সত্যকে বিকৃত করেছে’।

ভিডিওটি শুরুর সেকেন্ড তিরিশেকের মাথায় প্রশ্নকর্তা বলছেন, “দাদা, তুমি জানো তোমরা কী লেভেলের কাজ করেছ! ধর্ষণ হয় নাই। তাকে ধর্ষণ বলে চালিয়েছ! তোমার বাড়ির বৌকে দিয়ে এই কাজ করাতে পারতে? আমরা তো পারব না। দাদা সেখানে বাইরের লোক হয়ে তাদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। কী ভাবে ওঁদের ব্রেনওয়াশ করলে?”এর উত্তরে গঙ্গাধর কয়ালকে হাসতে হাসতে বলতে শোনা যাচ্ছে, “শুভেন্দুদার নির্দেশেই আমরা এই কাজ করেছি। উনি আমাদের সাহায্য করেছেন। শুভেন্দুদা বলেছেন, এটা না করলে, তাবড় তাবড় লোকদের গ্রেফতার করানো যাবে না। আমরাও ওখানে দাঁড়াতে পারব না।” এরপরে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে “গোটা বিষয়টি শুভেন্দুদা নিয়ন্ত্রণ করত?” জবাবে গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, “হ্যাঁ উনিই সব নিয়ন্ত্রণ করেছেন। “সন্দেশখালির নারীদের দিয়ে কীভাবে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ লেখানো হয়েছিল, কীভাবে তাদের শেখানো হয়েছিল, একবার শেখানোর পরেও কীভাবে অনেকে ভয়ে পিছিয়ে যায় মিথ্যা অভিযোগ লেখাতে, স্থানীয় বিজেপির আর কোন নেতা এর পিছনে ছিলেন, সেসব নামও বলেছেন মি. কয়াল।

স্টিং অপারেশনের ভিডিওর কিছু অংশ শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলনেও প্রদর্শন করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি। বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী।তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই ষড়যন্ত্র বাংলা এবং পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র দুই হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলার নারীদের সম্ভ্রম বিক্রি করে দিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা না চায়, তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে তাদের মদতেই এই ষড়যন্ত্র হয়েছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*