প্রযুক্তি প্রতিদিন: সময় প্রতিদিন বিশ্বাস করে পবিত্র কোড়আন শরীফে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি নিয়ে যে ঈরশাদ করেছেন সে বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই। তাই মহাশূন্য গবেষনারত বিজ্ঞানীদের পাগল ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। এ সাথে আরও বিশ্বাস করে স্পেস রিসার্চ একটা সময় ও অর্থ অপচয়ের ফন্দিফিকির। বরং মানব কল্যানে বিশেষ করে খাদ্য ও পরিবেশগত বিপর্যয়ে মানব দেহে ও মনের মধ্যে যে ব্যধি বাসা বেধেছে সে বিষয়ে অর্থ ও সময় ব্যায় করা উচিত।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনের সূত্র ধরে, মহাবিশ্বে অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, অনেক বিজ্ঞানী এখন আর সে প্রশ্ন করেন না। বরং তাদের প্রশ্ন হচ্ছে, কবে সেই প্রাণের খোঁজ মিলবে? বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ আশাবাদী যে, আমাদের জীবদ্দশায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ত দূরের কোন গ্রহে জীবনের সন্ধান পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতি গ্রহে মিশন পরিচালনা করছেন, এমন একজন বিজ্ঞানী আরও একধাপ এগিয়ে বলছেন, বরফে ঢাকা এই গ্রহে কোন প্রাণ না থাকলে সেটাও হবে অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহে জীবন থাকা সম্পর্কে ইঙ্গিত শনাক্ত করেছে। সেখানে পৃথিবীর মতো আরও অনেক গ্রহ রয়েছে বলে নাসা ধারণা করছে। পৃথিবীর বাইরে প্রাণের খোঁজ পাওয়া হবে সর্বকালের সর্ববৃহৎ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। সেজন্য এর মধ্যেই বেশ কিছু মিশন শুরু হয়েছে বা শুরু হতে যাচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্যাথরিন থেইম্যানস বলেন, “অসীম নক্ষত্র এবং গ্রহের একটি মহাবিশ্বে আমরা বসবাস করি। সেখানে অবশ্যই আমরাই শুধু একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হতে পারি না।” “এই মহাবিশ্বে আমরাই একা আছি কিনা, সে প্রশ্নে উত্তর খোঁজার মতো প্রযুক্তি এবং ক্ষমতা এখন আমাদের আছে,” তিনি বলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক নিক্স মধুসূদন বিবিসিকে বলেছেন, এসব ইঙ্গিত যদি সত্যি বলে নিশ্চিত করা যায়, তাহলে তা ‘জীবনের সন্ধান সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাকে আমূল বদলে দেবে।‘ “যদি আমরা এই গ্রহে জীবনের চিহ্ন খুঁজে পাই, তাহলে এই সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে যে, মহাবিশ্বে এরকম আরও জীবন থাকতে পারে।” তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, পাঁচ বছরের মধ্যে মহাবিশ্বের জীবন সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়ার ‘একটি বড় পরিবর্তন’ হবে। কিন্তু যদি এই গ্রহের জীবনের খোঁজ পাওয়া না যায়, তাহলে বিজ্ঞানীদের এই দলের তালিকায় আরও ১০টি গোল্ডিলক্স গ্রহ রয়েছে, যেগুলো নিয়ে তারা গবেষণা করবেন। এরপরেও আরও কিছু গ্রহের তালিকা রয়েছে তাদের কাছে। মহাবিশ্বে জীবনের সন্ধানে যেসব গবেষণা চলছে, তার এই প্রকল্প সেগুলোর মধ্যে একটি মাত্র। অন্য প্রকল্পগুলোর কিছু কিছু সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোয় প্রাণের সন্ধান করছে। আবার কিছু প্রকল্পে নজর দেয়া হচ্ছে মহাকাশের আরও গভীরে।