
বিনোদন প্রতিদিন: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার কোনো কমতি নেই। তাই বলে কিছু সময় বের করা যাবে না এমনটাও নয়। সময়মতো জরুরি কাজ করে নিলে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে বই পড়ার জন্যে। তাই আর না ভেবে কিছু সময় বের করে নিন। একজন ব্যক্তি যখন বই নাড়াচাড়া করেন, হাতে নিয়ে চলাচল করেন, অনেক সময়ই বইয়ের পাতা খোলার পরিপ্রেক্ষিতে বইয়ের প্রতি মায়া জন্মে। এভাবেও বই পড়ার অভ্যাসে আসা যায়। যাদের নিজস্ব ব্লগ রয়েছে তারা চাইলে সেখানে বই সম্পর্কে বিস্তারিত মন্তব্য কিংবা পড়ার তালিকা সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। যারা অবশ্য ইন্টারনেট তেমন চালান না তারা ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করতে পারেন। শহরের বাইরে প্রয়োজনে খোলা মাঠের পাশে বা বাড়ির উঠানের পাশে বাগিচায় বসেও বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। মোট কথা, আপনার সুন্দর একটি স্থান হলেই শান্ত পরিবেশে পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। প্রযুক্তির ব্যবহারে পাঠাভ্যাস গড়া অসুস্থ মানসিকতার লক্ষণ, অনেক জ্ঞানীরা মনে করে থাকেন। কথাটা অবশ্য একেবারে ফেলনা নয়। সেদিক ভেবে প্রযুক্তির ব্যবহার কমিয়ে কাগজের বই পড়ার অভ্যাস করা আমাদের সবার প্রয়োজন। ছুটির দিন বন্ধুমহল নিয়ে কিংবা স্বজনদের নিয়ে বাৎসরিক বইমেলা অথবা স্থায়ী বই বাজার ঘোরার অভ্যাস গড়ুন। প্রতিদিনকার রুটিন থেকে অল্প কিছু সময় বের করুন, বই পড়ুন এবং নীরব সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যান। মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বকে সরিয়ে অন্ততপক্ষে কিছু সময়ের জন্য হলেও বই পড়ুন।