শিক্ষা প্রতিদিন: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফট অপারেটর পদে পরীক্ষা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঘটনার শিকার চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট অপারেটর পদের চাকরি পরীক্ষা হয়েছে। ১১টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩৮ জন। এর মধ্যে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
ঘটনার শিকার চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিতে আসার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাদের ধরে নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরীক্ষা শেষে হলে কক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বজনরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টির তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করতে গেলে সেটিও ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে আসা হামজা রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, “সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আসি। নামার সঙ্গে সঙ্গে একজন আমাকে ডাকল। এরপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার লিফট চালানার অভিজ্ঞা রয়েছে?’ তার পর ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে নিয়ে যায় আমাকে। কক্ষে ঢুকিয়ে আমাকে আটকে রাখা হয়। ফোন-কাগজপত্র সব ছিনিয়ে নেয়।” তিনি বলেন, “চাকরি পরীক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করে আকুতি জানালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একজন আমাকে বলেন, ‘তোর চাকরি বড়, নাকি জীবন বড়’।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুপুরের পরে ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আমরা প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে উপাচার্য বলেন, “আগামী শনিবার রিজেন্ট বোর্ডে সভা ডাকা হবে; সেখানে এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপহরণ মামলাও করা হবে।” সূত্র: বিডিনিউজ