প্রযুক্তি প্রতিদিন: আয়রন ডোম নাম শোনেননি এমন লোক মনে হয় খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশ্বের সকল সমর বিশেষজ্ঞদের কাছে আয়রন ডোম একটি স্বপ্ন ও আভিজাত্যের প্রতীক। আয়রন ডোম হলো ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার চাহিদা মার্কিন মুলুকে রয়েছে তেমনি রয়েছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে। আয়রন ডোমের আবিষ্কারক দেশ পশ্চিমা বিশ্বের মদতপুষ্ট হানাদার ইসরাইল বাহিনী।
রাফালে এডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম এবং ইসরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাসট্রিজ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি সহজে স্থানান্তরযোগ্য ও সকল আবহাওয়া উপযোগী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ইসরায়েলি নাগরিক অধ্যুষিত এলাকাসমূহকে লক্ষ্য করে ৪ কিলোমিটার থেকে ৭০ কিলোমিটার দুরত্ব হতে নিক্ষিপ্ত, স্বল্প পাল্লার রকেট ও কামানের বোমাসমূহকে প্রতিরোধ ও ধ্বংস করতে পারে। ইসরায়েল আশা করছে যে তারা ভবিষ্যতে এর প্রতিরোধ পাল্লা ৭৫ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে এবং একে আরও বহুমুখী ও দ্বিমুখী আক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারবে।
এই পদ্ধতি স্বল্প-সীমা রকেটসমূহের মোকাবেলা করার জন্য নকশা করা হয়েছে এবং ১৫৫ মিমি বিশিষ্ট্য আর্টিলারি শেল যার পরিসীমা ৭০ কিলোমিটারের উপরে। আয়রন ডৌম দিন এবং রাতের যে কোন প্রতিকূল আবহাওয়াতে কাজ করার উপোযোগী। এটি একই সাথে কয়েকটি রকেট হামলা প্রতিহত করতে পারে।
সেই আয়রন ডোমের বিরুদ্ধে নজরকাড়া দৃষ্টিনন্দন অভিযান পরিচালনা করলো স্বাধীনতাকামী হামাস। হামাস তাদের স্বল্প বাজেটের রকেট আর আধুনিক এ্যটাকিং বিহেভিয়ার দিয়ে অজেয় হানাদার ইসরাইল বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে ফেলেছে। আল জাজিরার সূত্রে জানা যায়, হামাস এই যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যবহার করেছে বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে গর্ত খুঁড়ে, সমুদ্রপথে এবং প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে তারা। ইসরায়েলিদের নাকের ডগায় হাজার হাজার রকেট মজুদ ও গোলাবর্ষণের মতো সমন্বিত ও জটিল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি এবং হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হামাস যে নজিরবিহীন কৌশল ও নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা পরিষ্কার।