হবে কি প্রতিকার! র‌্যাবকে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ

Posted by

দেশ প্রতিদিন : রোজার মাসে যারা কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র‌্যাবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন, “রমজান হচ্ছে সংযমের মাস। সংযমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা সংযমের পরিবর্তে আরো লোভী হয়ে পড়ে। যে পণ্যগুলো আমাদের প্রয়োজন সেগুলো মজুদ করে রাখে, সেগুলো দাম বৃদ্ধি করে, নানারকম কারসাজি করে থাকে। এই অসাধু ব্যবসায়ী এবং পাশাপাশি যারা চোরাকারবারি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।”র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। ঈদ সামনে রেখে জাল নোটের বিস্তার রোধে নজরদারি বাড়ানো এবং অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ঈদ এলেই জাল মুদ্রার সরবরাহটা বেড়ে যায়। সেসব বিষয়ে নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। যদিও এর ওপর অভিযান চলছে, এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রথমে প্রথমে অনেকে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। সেই অধিকারও আমাদের রয়েছে। এই দেশটা আমাদের। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারা পারেনি। সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আমেরিকার জনগণ সেটা করতে দেয়নি, কোর্টে তারা বাধা দিয়েছিল।“আমি মনে করি কেউ কিছু বললে নিজেদের মন খারাপ করার কিছু নেই। আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। আর অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করা দায়িত্ব, সেই দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে র‌্যাব যথাযথ ভূমিকা নিচ্ছে। শুধু যে যারা অপরাধী যারা, তাদের গ্রেপ্তার করছে তা নয়, তাদের মোটিভেটেড করা হচ্ছে, উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে আসে। একটার পর একটা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ভেতর একটা পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। যাতে মানুষ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকের সাথে সম্পৃক্ত না হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*