নতুন প্রজন্ম বুয়েটের আবরার-কে তিতুমীর হিসেবে চিনবে

Posted by

দেশ প্রতিদিন: তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার কথা ঐতিহাসিকভাবে সবার মনে আছে। দেশকে স্বাধীন করতে তিতুমীর নির্মান করেছিলেন বাঁশের কেল্লা দুর্গ। একা লড়াই করেছেন এই বীর। তেমনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ বাংলাদেশে সরকারের তখনকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্র নীতি সেই সাথে ভারত প্রীতির আচরণ জনগণের মনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। শেখ হাসিনা নগ্ন ভাবে ভারতকে ভালোবেসেছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সাথে বৈষম্য মূলক চুক্তি করেছেন। তার এরকম নগ্ন আচরণ ক্ষোভ তৈরি করে ছাত্রদের মধ্যে। তেমনি একজন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার ফাহাদ। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন: “ ১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মোংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।২.কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড় লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।৩.কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব। ……”

২০১৯ সালের ৬ই অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। ফেসবুকে ভারত বিরোধী একটি পোস্টের জের ধরে রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। পরে রাত তিনটার দিকে জানা যায় যে আবরারকে হত্যা করে একতলা ও দোতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগ নির্মম নির্যাতন করে । ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে আবরার ফাহাদকে। নতুন প্রজন্মের কাছে আবরার ফাহাদ হয়ে ওঠেন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তিতুমীর। নতুন প্রজন্ম তাকে দিয়ে তিতুমীর হিসেবে সম্মান জানাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*