অপরাধ প্রতিদিন: মিরপুর জোনের এডিসি মাসুক মিয়া পিপিএম -এর বিচক্ষণতায় গ্রেফতার হলেন একজন ভূয়া সরকারী কর্মকর্তা। মামলার বিবরণে জানা যায়, রফিকুল হক মিয়া নিজেকে সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী পরিচয় দিয়ে তার একটি ভিজিটিং কার্ডসহ আনু মিয়া (৪৭) ও তার মেয়ে রহিমা খাতুন রত্না (২২) সহ বিকাল পাঁচটার সময় মিরপুর জোনের এডিসি মাসুক মিয়া পিপিএম এর অফিসে যেকোন এক বিষয়ে আইনগত পরামর্শ গ্রহনের জন্য পাঠান এবং এডিসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে এডিসি মাসুক মিয়া পিপিএম -এর নিকট উক্ত ব্যক্তির পরিচয় সংক্রান্ত বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় রফিক মিয়াকে তাঁর অফিসে চায়ের দাওয়াত দেয় এবং যাদের অফিসে পাঠিয়েছেন তারা সঠিকভাবে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে না পারায় রফিকুল হক মিয়াকে আসতে বলেন। ভূয়া কর্মকর্তা রফিকুল হক মিয়া অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোন অফিস কার্যালয় আসলে তার পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নিজেকে সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এবং ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার এর একজন কর্মকর্তা পরিচয় দেন। রফিকুল হক মিয়ার পরিচয় দেয়া প্রতিষ্ঠান NTMC কর্তৃপক্ষের নিকট রফিকুল হক মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ভিজিটিং কার্ডসহ নাম ঠিকানা এবং ছবি প্রেরন করা হয়। NTMC প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানান যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্ণিত ব্যক্তির নামে এবং পদে কোন ব্যক্তি কর্মরত নেই। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া পরিচয় দানকারী রফিকুল হক মিয়া নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। মিরপুর জোনের এডিসি মাসুদ মিয়া পিপিএম মিরপুর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর ভুয়া পরিচয় দানকারী রফিকুল হক মিয়াকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। তার নামে দণ্ডবিধি ৪১৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।