
অর্থনীতি প্রতিদিন: মঙ্গলবার গণভবনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মৌসুমের সময় ফসল এবং যখন দাম কম থাকবে তখন ডিমের মতো খাদ্যপণ্য বিকল্প উপায়ে সংরক্ষণের বিকল্প উপায় কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে নিত্যপণ্য নিয়ে মৌসুমী ব্যবসা পরিচালিত হয়। মজুদ আছে, সরবরাহ আছে, তারপরও হঠাৎ করে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজ, ডাব, কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। এরকম সিন্ডিকেট করে বাংলাদেশে ব্যবসা করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। সিন্ডিকেটের একথা দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা বলেন যে, এটাতে হাত দেওয়া যায় না, দিতে গেলে বিপদ আছে। এ ব্যাপারে মৌসুমী ব্যবসা যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন কি না? এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নিয়ে থাকি। কিন্তু বিপদ আছে- কে বলেছে, আমি ঠিক জানি না। কোন মন্ত্রী বলেছেন?”তখন এ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না’ বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি দেখব। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির পেছনে এক শ্রেণির সিন্ডিকেট রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘অভাব যেন না থাকে সেটা দেখব। বিকল্প ব্যবস্থা করে দেব এই সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেব, এটা এমনি ভেঙে যাবে।”