
নিজস্ব সংবাদদাতা : শনিবার সকালে ওই শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ার জন্য কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে যান। এ সময় সেখানে তার মা উপস্থিত ছিলেন।ছাত্রীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে তার সিনিয়র আপুরা ডাক দিয়ে নিয়ে অনেক ইয়ে করেছে, তাতে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে, তাকে অনেক বকাবকি করছে।“দুই দুইবার তারে ডাকছে। একবার সাড়ে ৯টায়, পরে আবার মেয়েকে একা রুমে নিয়ে অনেক ইয়ে করছে। পরে ভয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, “সেটাকে এখন তারা অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করতাছে। এটা নাকি অভিনয়, নাটক এইরকম। অথচ আমার মেয়ে অনেক অসুস্থ। এই রুমে (অধ্যক্ষের রুমে) আপনারা গিয়ে দেখেন।” মায়ের বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা ‘নির্যাতিতা’ ছাত্রীর বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর বক্তব্য নিতে গেলে কলেজ অধ্যক্ষ, কয়েকজন শিক্ষক ও অফিস সহকারী মিলে সাত সংবাদকর্মীর ওপর হামলা চালায়। তাদেরকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে সেখান থেকে বের করে দেন। যদিও বিষয়টি পরে সমঝোতা হয়। পরে ছাত্রীকে ‘র্যাগিং’য়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, “ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্ধ্যা ৬টা দিকে উপাধ্যক্ষ জি এম নাজিমুল হক বলেন, “ছাত্রী নিবাসে কোনো র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রী নিবাসের একটি কক্ষে তিন ছাত্রীর মধ্যে একটু দ্বন্দ্ব হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিলো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রী নিবাস ব্যবস্থাপনা কমিটি মূলত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়েই করা হয়ে থাকে। পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী নীলিমা হোসেন জুঁই সেই কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক।