
প্রযুক্তি প্রতিদিন: স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে, উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থাসহ অসংখ্য মার্কিন প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বিশেষত বিদেশী শত্রুদের কাছ থেকে। নিউবার্গরের মন্তব্য মিলে যায় কানাডার সাইবার সিকিউরিটি প্রধান স্যামি খুরির গত মাসের বক্তব্যের সঙ্গে। ভুয়া তথ্য ছড়াতে ফিশিং ইমেইল থেকে শুরু করে ক্ষতিকর কম্পিউটার কোড লেখাসহ সর্বোপরি এআইয়ের ব্যবহার তার সংস্থা শনাক্ত করেছে বলে তখন বলেছিলেন তিনি।দুই কোটি ডলার পুরস্কারের প্রতিযোগিতাটির মেয়াদ হবে দুই বছর, যেটি পরিচালনা করবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডারপা)। যেসব উদীয়মান ঝুঁকি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা হিমশিম খাচ্ছেন, এ প্রতিযোগিতা সেসব মোকাবেলায় সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা বলেই ইঙ্গিত মিলছে। গত বছর মার্কিন কোম্পানিগুলো চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এ প্রযুক্তির সহায়তায় তবে ঠিক আসলের মতো দেখতে ও বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও, ছবি, লেখা এবং কম্পিউটার কোড তৈরি করা যাচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চীনা কোম্পানিগুলোও অনুরূপ মডেল নিয়ে হাজির হচ্ছে।এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই খুবই বড় আকারের হ্যাকিং আক্রমণ কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো সম্ভব। ওপেনসোর্স সফটওয়্যারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ওপেনসোর্স ফাউন্ডেশন এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সফটওয়্যার কোড নির্ধারণ করে তা যথাযথ ব্যবহারের দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকার।