মনে আছে সেই বীরের কথা

Posted by

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ যার অর্থনীতি একেবারে শূন্যের কোঠায়, তখনই রাশিয়া নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী একজন বন্ধুর মত পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের। পাকিস্তানিরা এদেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় নির্বিচারে মানুষ হত্যা যেমন করেছে তেমনি অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য যত রকমের ধ্বংস চালানো সম্ভব সব করেছে। তেমনি দেশের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য বন্দর চট্টগ্রামের পতেঙ্গাকে একেবারেই পঙ্গু করে দিয়েছিল। অর্থনৈতিক কার্যক্রম যেন বাংলাদেশ পরিচালনা করতে না পারে সেজন্য বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রেখেছিল জলমাইন। তখনো রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য সামরিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সমুদ্রবন্দরটির কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ও মাইন অপসারণ করতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ২২টি জাহাজ দূরপ্রাচ্যের ভ্লাদিভোস্তক থেকে চট্টগ্রামে আসে ১৯৭২ সালের মে মাসে। বছরখানেক লেগেছিল মাইন অপসারণে। এ সময়ে মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ইউরি রেদকিন নামের এক সোভিয়েত মেরিন। বাংলাদেশের নেভাল একাডেমিতে তার কবর রয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম একটি প্রধান বন্দর হিসেবে আগের অবস্থায় ফিরে আসে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায়। এমনকি ১৯৭৩ সালে এটির ধারণ ক্ষমতা যুদ্ধপূর্ব সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যায়। ১৯৭২ সালের মার্চে মস্কো সফরে যান তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*